বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৪,২৪৬ কি.মি.। এর মধ্যে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪,০৫৩ কি.মি এবং মিয়ানমারের সাথে আরও ১৯৩কি.মি (উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন)।বাংলাদেশের এই দীর্ঘ স্থল সীমান্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে আসছে। শুল্কআইন, ১৯৬৯ এর আওতায় ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশনের অধীনে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়।এর ধারামোতাবেক প্রঞ্জাপন নং-এসআরওনং-৪৯৩/ডি/কাস/৭৯, তারিখ ০৬ জুলাই, ১৯৭৯ এর মাধ্যমে ওয়্যারহাউজিং স্টেশন ঘোষণা করা হয়।১৯৭৯সালের অক্টোবরে ওয়্যারহাউজিং কর্পোরেশন বিলুপ্ত হওয়ার পর বেনাপোল শুল্ক স্টেশনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পাট মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পাট কর্পোরেশন(বিলুপ্ত সেল)এর উপর ন্যস্ত হয়।১৯৮৪ সালে বেনাপোল শুল্ক স্টেশনের ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে উন্নত ও সহজতর করার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ (২০০১ সালের ২০ নং আইন) বলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়।কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালে স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।বর্তমানে এ কর্তৃপক্ষের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ ২৪টি শুল্ক স্টেশনকে সরকার কর্তৃক স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭টি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তম্মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর যথা- বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, গোবড়াকুড়া কড়ইতলী, বিলোনিয়া, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর ও রামগড় বাস্থবকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। বিরল স্থলবন্দর ব্যতীত অপর ০৫টি স্থলবন্দর যথা- বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ ও বিবিরবাজার স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বিওটি(বিল্ড, অপারেইট, ট্রান্সফার) ভিত্তিতে পোর্ট অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ০৭টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান ও চালুর অপেক্ষাধীন রয়েছে। স্থলবন্দরসমূহ আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি ও সরকারি রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। একই সাথে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও সীমান্ত চোরাচালান হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এর দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঠিকানা:বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ
এফ-১৯/এ, শেরেবাংলানগর (জিটিসিএল ভবনের বিপরীতে)
আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭
ই-মেইল: chairman@bsbk.gov.bd
Website: www.blpa.gov.bd
ফোন: +৮৮-০২-৪১০২৫৩৪৮
ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৪১০২৫৩৪৮
ইমেইল chairman@blpa.gov.bd
|
|